“একটা ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব”

“একটা ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব”

“একটা ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব”

একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কখনো বেস্ট ফ্রেন্ড হতে

পারে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা খুব ভালো

বন্ধু থাকতে পারে। এরপরেই আর পারে না। দুজনের যেকোন একজন আরেকজনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, দুজনেই হয় না। অধিকাংশক্ষেত্রে ছেলেটা মেয়েটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। ছেলেরা এমনই হয়। একটুতেই দুর্বল হয়ে পড়ে, একটুতেই ভালোবেসে ফেলে। কোনো মেয়ে তার প্রতি একটু কেয়ারিং হলেই সে মনে করে মেয়েটা বুঝি তাকে ভালোবাসে।

তার সবচেয়ে কাছের মেয়ে বন্ধুটা যখন দিনের পর দিন

তার কেয়ার নেয়, খোঁজখবর নেয়, কারনে-অকারণে ঝগড়া করে। যখন আবেগ দেখায় তখন ছেলেটা ধরেই নেয় মেয়েটা তাকে প্রচন্ড ভালোবাসে! ছেলেটা মনে

ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করতে করতে আর মেয়েটার অতি

কেয়ারিং আচরণের কারণে ছেলেটা নিজের অজান্তেই

মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলে!

অথচ, মেয়েটা কখনোই ছেলেটাকে ভালোবাসে নি।

শুধুমাত্র বন্ধু হিসেবেই দেখে এসেছে! মেয়েরা তার

ভালোবাসার মানুষ আর বন্ধু এই দুজনকে সম্পূর্ণরুপে পৃথক করে দেখে! যে মেয়েটা একটা ছেলেকে বন্ধু ভাবে সে সবসময় তাকে বন্ধুই ভাবে, ভালোবাসার মানুষ ভাবে খুব কমক্ষেত্রেই!

ছেলেরা সেটা পারে না! তারা একটা মেয়ের কাছে

বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু হতে চায়। একটা মেয়ে যখন

“বন্ধু” হিসেবে একটা ছেলের প্রতি অনেক বেশি কেয়ারিং হয় তারমানে এটা না কখনোই না যে মেয়েটাক ছেলেটাকে ভালোবাসে! বরং মেয়েরা জন্মগতভাবেই কেয়ারিং হয়। তার আশেপাশের খুব কাছের মানুষদের জন্য সে অনেক বেশি কেয়ারিং হয়! তাই যখন ছেলেটা তার খুব কাছের মেয়ে বন্ধুর কেয়ারিং এর কারণে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভালোবাসার জন্য তার সামনে দাড়ায় মেয়েটার মাথায় তখন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে!

সে কখনো চিন্তাও করতে পারে না তার বেস্টফ্রেন্ডটা তাকে ভালোবাসার কথা বলবে। ছেলেটাও ভাবতে

পারে না মেয়েটা তাকে ভালোবাসে না বরং শুধুমাত্র

বন্ধু হিসেবে দেখে!

এরপর তারা দূরে সরে যায়। মেয়েটা কষ্ট পায় সে খুব

কাছের একজন বন্ধুটাকে হারালো সেজন্য। ছেলেটা কষ্ট পায় যখন হঠাৎ কেয়ারিং মেয়েটা তার জীবন থেকে হারিয়ে যায়। বন্ধু হিসেবেও তাকে পায় না,

ভালোবাসার মানুষ হিসেবেও না। তারপর শুরু হয় এভয়েড করা। সমাপ্তি হয় একটা সুন্দর সম্পর্কের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *